আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : তীব্র স্যালাইন সংকটে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। মধ্য ও উচ্চবিত্ত রোগীরা হাসপাতালের বাহির থেকে স্যালাইন ক্রয়ের পর চিকিৎসা করলেও বিপাকে পরেছের দরিদ্র রোগীরা।

বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকায় স্যালাইন চেয়ে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। সূত্রমতে, গত দু’দিন হাল্কা ধরনের বৃষ্টি হলেও তীব্র তাপদাহ কমছেনা। ফলে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নতুন নতুন রোগী। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের নগরীর একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, সদর হাসপাতালের ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে মোট শয্যা চারটি (পুুরুষ দুই ও নারী দুই)। চলতি সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ডায়রিয়ার রোগী বহির্বিভাগে ব্যবস্থাপত্র নিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ১৫ মে হাসপাতালে নতুন করে ২৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাসপাতালের কর্মরত নার্সরা জানান, ডায়রিয়া রোগের অন্যতম চিকিৎসা স্যালাইন প্রয়োগ। বর্তমানে হাসপাতালে স্যালাইন একেবারেই নেই। তাই বাধ্য হয়ে মধ্য ও উচ্চবিত্ত রোগীরা বাহির থেকে স্যালাইন ক্রয় করে এনে চিকিৎসা নিলেও হাসপাতালে এসে স্যালাইন না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেছেন দরিদ্র রোগীরা।

ডাঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে প্রচুর আইভি স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। আইভি স্যালাইন নিয়ে কোন বাজেট নেই। মজুদও শুন্যের কোঠায়। বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, বছরে তাদের যে স্যালাইন বরাদ্ধ দেয়া হয় তাতে ৩/৪ মাস চলে। এখন গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ চলছে। তাই পরিচালকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে স্যালাইনের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

(টিবি/এসপি/মে ১৬, ২০১৯)