সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত কাপাসিয়া এলাকা। আম, কাঠাল,লিচু,পেয়ারা, আনারস, কলা, আপেলকুল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রায় সব মৌসুমী ফলই জন্মে এই কাপাসিয়া। শীতলক্ষ্য,ব্রহ্মপুত্র ও বানার নদী বিধৌত এলাকা জুড়ে গাজীপরের এই কাপাসিয়া। এর মধ্যে বাংলা নববর্ষের প্রথম মাস বৈশাখে ডালে ডালে দোল খেতে শুরু করেছে মধুর ফল লিচু। বৈশাখের মাঝামাঝিতে এসে পাকতে শুরু করে এই লিচু। কোন কোন গাছের লিচু একটু আগেই লাল রং ধরতে শুরু করে। যেসব গাছের লিচু আগেই পেকে যায় তার দামও একটু বেশি থাকে। এলাকার বাজার গুলোতে এখরই উঠতে শুরু করে আধাপাকা লিচু। কিন্তু হঠাৎ গতকাল কাল বৈশাখী ঝড়ে এলাকার সাধারণ কৃষকদের মাথায় হাত। আধঘন্টার কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে লেচু বাগান। পাকা আধা পাকা সব লিচু এখন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আধাঘন্টার ঝড়ের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখিত হতে হয়েছে কৃষকদের।

বছরের একমাত্র মৌসুমী ফল নস্ট হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। বাগানের অধিকাংশ লিচু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। যে কয়েকটি বাগানে গাছ রয়েছে তাও লেচু শুন্য হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবার এলাকায় বাম্পার লেচুর ফলন হয়েছিল্ আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে ফলন ও ভাল ছিল। সবার মুখে আনন্দ ছিল সব আশা ভড়সা গতকালে ঝড়ে ভেঙ্গে দিয়ে গেছে। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে নাশেরা, ঘিঘাট, গোসাইরগাও, বেগুনহাটি, বাড়ৈগাও, নাজাই, বড়হারটেক গ্রামে সবচেয়ে বড় বড় লিচু বাগান গুলো লিচুহীন ভাবে দাড়িয়ে আছে।

আজ সরকারিভাবে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় উপজেলা জেলা কৃষি অফিসের কোন বি এসকে এলাকায় দেখা যায়নি। সরকারী ভাবে কতটাকার লেচু বিনস্ট হয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে লিচু বাগানের মালিকরা জানান, এ ঝড়ে প্রায় কোটি টাকার লিচু নস্ট হয়েছে বলে ধারণা করছেন।

(এসকেডি/এসপি/মে ১৮, ২০১৯)