জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদরের তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। 

কেন্দ্র ফি জমা না দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষাবঞ্চিতরা শিক্ষার্থীরা তুলসীপুর কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজা-জানালা বেঞ্চ ভাংচুর এবং এলকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ও কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদরের দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজের ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে একই কেন্দ্রে শুরু হয়েছে বিজ্ঞান ও কৃষি শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সময় মতো কেন্দ্র ফি পরিশোধ করলেও তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তার কলেজের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা এক লাখ ৮৫ হাজার ৭২৪ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি টাকা পরিশোধ না করায় কেন্দ্র সচিব গতকাল শনিবারের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেন।

ফলে ব্যবহারিক পরীক্ষাবঞ্চিতরা কেন্দ্র ত্যাগ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও স্থানীয় সড়ক অবরোধ করে অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার বিচার দাবি করেন। একই সাথে তারা ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করারও দাবি জানান। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজা-জানালা ও বেঞ্চ ভাংচুর করে। এ সময় কলেজটির অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিচু কলেজে ছিলেন না। পরে তিনি কলেজে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্র ফি পরিশোধ করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার আশ^াসের প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে তুলশীপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিচুর প্রতিক্রিয়া জানতে তার কাছে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কেন্দ্র সচিব ও দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মুক্তার আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম লিচুর কাছে পাওনা বকেয়া কেন্দ্র ফি ৮৫ হাজার ৭২৪ টাকা জমা না দেওয়া পর্যন্ত ওই কলেজের পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত থাকবে। টাকা হাতে না পেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে পরবর্তীতে আর টাকাই পাওয়া যাবে না।’

(আরআর/এসপি/মে ১৮, ২০১৯)