কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা পুলিশের হ্যান্ডকাফ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া  মাদক ব্যবসায়ীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি । গত ৪দিনে পুলিশ সেই মাদক ব্যবসায়ীর কোন সন্ধান করতে পারিনি। এছাড়া এখনো পর্যন্ত হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এ নিয়ে এলাকার জনসাধারনের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যাতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই পুলিশ কর্মকতা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী তারেক এর সাথে একাধিক বার চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা গেছে বলে মানিক বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান। ওই পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে এর আগেও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করার মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ইতিপূর্বেও ওই পুলিশ সদস্য উপজেলা চাঁদপুর বাজারে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। চাদপুর বাজারের এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবাহা ঢুকিয়ে ফাসানো চেস্টা করা হয়েছিল কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর বাজারের ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে তিনি। পরে থাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বাজারে আটকিয়ে রাখা হয়। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মুচলেকা দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকতাকে ছড়িয়ে আনেন তৎকালীন থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৭ এপ্রিল দুপুরে কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কফিল উদ্দিন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী খিরাটি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (২৫) কে গ্রেপ্তার করতে ওই এলাকায় যায়। পুলিশ তারেককে খবর দিলে সে পুলিশের সাথে দেখা করে দরকষাকসি করে। এক পর্যায়ে বনিবনা না হলে তারেককে গ্রেফতার করে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। ওই সময় তারেকে ভাই মাসুম ঘটনা স্থলে এসে তার ভাইকে হ্যান্ডকাপ পরার কারন জানতে সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কফিল উদ্দিন সাথে তর্তে জড়িয়ে পড়ে এর ফাকে তারেক হ্যান্ডকাফ নিয়ে দিনে দুপুরে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তারেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সে পলাতক থেকে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল।

(এসকেডি/এসপি/মে ১৯, ২০১৯)