আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু লক্ষ্ণৌ থেকে ফিরে আজ ফের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন তিনি।

বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করার পর চন্দ্রবাবু নাইডু উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে গিয়ে বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন।

লক্ষ্ণৌতে উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন চন্দ্রবাবু নাইডু। বৈঠকের পর সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি চন্দ্রবাবু নাইডুকে লক্ষ্ণৌতে স্বাগত।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠকে উপস্থিত হয়ে উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী উভয়কে বাক্সভর্তি আম উপহার দেন। তবে চন্দ্রবাবু নাইডু তাদের বৈঠকের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

লোকসভা নির্বচন শেষ হলেই বিরোধীদের একত্র করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দিল্লিতে যান চন্দ্রবাবু নাইডু। তারপরই তিনি দেখা করেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদবসহ সিপিআই নেতাদের সঙ্গে।

শনিবার চন্দ্রবাবু নাইডু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। আগামী ২৩মে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বিরোধী জোট গড়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন তারা। তাছাড়া একইদিনে তিনি সিপিআই নেতা সুধাকর রেড্ডি এবং ডি রাজার সঙ্গেও বৈঠক করেন।

গতকাল চন্দ্রবাবু নাইডু এবং রাহুল গান্ধীর ঘন্টা খানেকের বৈঠক যেমন বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে তেমনই আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা কম থাকা বিজেপি যাতে সরকারের গড়ার জন্য অন্য দলগুলোকে ভাঙাতে না পারে তার জন্য কৌশলগত দিক থেকে তৈরি থাকার কথাও বলা হয়।

ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী দিল্লিতে সমস্ত বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের ২৩মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে বৈঠকের জন্য ডাকার পরদিনই চন্দ্রবাবু নাইডু এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্ণৌ ঘুরে আসার পর ফের রাহুল-নাইডু বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভারতের নির্বাচনে।

চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, সব বিরোধী দলের জন্য দরজা খোলা আছে। এমনকি টিআরএসএর সঙ্গেও। যদিও টিআরএস প্রধান তথা তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিজেপি বিরোধী কংগ্রেসে বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার কথা বলেছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট শুরু হয়েছে রোববার সকালে। দেশটিতে আজ সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৯টি লোকসভা আসনের ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির। তিনি উত্তর প্রদেশের বারাণসি আসন থেকে লড়ছেন।

আজকের শেষ দফায় পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের সব লোকসভা আসনের পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে সন্ধ্যায়। ভোট গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০১৯)