আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের চলমান তীব্র উত্তেজনার মাঝে সৌদি আরব যুদ্ধ এড়াতে চায়। তবে তারা সর্ব শক্তি দিয়ে যেকোনো ধরনের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি তেল ট্যাঙ্কার আক্রান্ত হওয়ার পর রোববার রিয়াদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধ এড়ানোর স্বীকারোক্তি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বল এখন ইরানের কোর্টে।

তেল ট্যাঙ্কার আক্রান্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের আরো দুটি তেল স্থাপনায় সশস্ত্র ডোন হামলা হয়। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি হামলার দায় স্বীকার করলেও রিয়াদ এই হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করেছে। এ ঘটনার দু’দিন আহে আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দু’টি-সহ চারটি তেল ট্যাঙ্কারে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হয়।

তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মাঝে এই হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনী, যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে এই অঞ্চলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ‘সৌদি আরব এই অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না। এই যুদ্ধ এড়ানোর জন্য যা করা দরকার সৌদি আরব তাই করবে। একই সময়ে সৌদি আরব আশ্বস্ত করছে যে, প্রতিপক্ষ যদি যুদ্ধকে বেছে নেয়, তাহলে সর্ব শক্তি দিয়ে এর জবাব দিতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এছাড়া দেশ এবং দেশের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে তারা।’

তেল ট্যাঙ্কারে হামলার পর সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আলোচনার জন্য রোববার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ উপসাগরীয় ও আরব নেতাদের জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ৩০ মে মক্কায় এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি।

এদিকে এক বিবৃতিতে আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বর্তমানে যে জটিল পরিস্থিতি ও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তাতে আরব এবং উপসাগরীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।’ রয়টার্স।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০১৯)