আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুথ ফেরত জরিপে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের স্বস্তির জয়ের আভাসে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন দেশটির রাজনৈতিক দল স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব। বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশের পরদিন সোমবার রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন এই দলের দিকে যেন গুলি ছুড়লেন তিনি। যোগেন্দ্র যাদব বললেন, কংগ্রেসের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে স্বরাজ ইন্ডিয়ার এই নেতা বলেন, ‘কংগ্রেসের অবশ্যই মৃত্যু ঘটবে। যদি ভারতের চেতনাকে বাঁচাতে এই নির্বাচনে বিজেপিকে থামাতে না পারে কংগ্রেস, তাহলে ভারতীয় ইতিহাসে এ দলটির কোনো ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে না। আজ বিকল্প একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির পেছনে একক বৃহত্তম বাধা এই দলটি।

ইন্ডিয়া ট্যুডের বুথ ফেরত জরিপে কংগ্রেসের ভরাডুবির আভাসে দলটির সমালোচনা টুইটে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়া ট্যুডের জরিপ বলছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট ৩০২টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং মিত্ররা পেতে পারে ১২২ আসন।

রাজধানী নয়াদিল্লির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির (আপ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন যোগেন্দ্র। ২০১৫ সালে তাকে আম আদমি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর থেকে দেশটির প্রাণকেন্দ্র দিল্লিতে কংগ্রেসসহ অন্য আঞ্চলিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মহাজোট গঠনের তৎপরতা শুরু করেন তিনি।

ভারতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে জানান যোগেন্দ্র। তিনি বলেন, দেশটিতে বিকল্প শক্তি হিসেবে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজে একক প্রধান অন্তরায় হলো কংগ্রেস।

তবে অপর এক টুইট বার্তায় ভারতের ইতিহাসে কংগ্রেসের অবদানের বিষয়টি পরিষ্কার করেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার এই প্রধান। তিনি বলেন, ‘ভারতের ইতিহাসে দলটির কোনো ইতিবাচক অবদান নেই; আমার এমন মন্তব্যে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। তবে স্বাধীনতার পরে এবং আগে কংগ্রেসের মহান অবদানকে আমি অস্বীকার করতে পারি না।’

যাদবের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র খুশবু সুন্দর। টুইটে তিনি বলেন, আমিই কংগ্রেস। আমিই ভারত। এমনকি আপনার মতো কিছু মানুষের চাওয়ায় আমি মরতে যাচ্ছি না। আমি যোগেন্দ্র যাদবের মন্তব্যে হতাশ। শয়তানকে ঠেকানোর দায় কেন শুধুমাত্র কংগ্রেসের ওপর চাপানো হয়? চলুন যৌথ শক্তি গড়ে তুলি।

(ওএস/এসপি/মে ২০, ২০১৯)