কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজে জৈষ্ঠ্যতা ভঙ্গ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করায় শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক পরিষদ গতকাল  দুপুরে শিক্ষক মিলনায়তনে এক জরুরী সভা আহবান করেন। শিক্ষক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আইসিটি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক শামীম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওশন আরা, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক নজরুল ইসলাম  প্রমূখ। সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও পরের তিনি অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে কাজকর্ম করেন। যা নিয়ম-নীতি বর্হিভূত। তাছাড়া সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে তৃতীয়জনকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব দেয়া জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিধিবর্হিভূত। শিক্ষকরা জৈষ্ঠ্য শিক্ষক আব্দুস ছালামকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানান। 

কলেজ সুত্রে জানা যায় , কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ছানাউল্লাহ গত রোববার অবসর যাওয়ায় গর্ভণিং বডির সভায় জৈষ্ঠ্যতা ভঙ্গ করে মুহা. ওয়াজেদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ি বর্তমানে কলেজের সর্বজৈষ্ঠ্য শিক্ষক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুস ছালামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেয়ার কথা। আব্দুস ছালামের পরবর্তী সিনিয়র শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওশন আরা বেগম। কিন্ত প্রথম, দ্বিতীয়জনকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা মুহা. ওয়াজেদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তাছাড়া গত ১৯ মে রোববার থেকে অধ্যক্ষ মোঃ ছানাউল্লাহ’র চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও তিনি ২০ মে সোমবার নিয়ম ভঙ্গ করে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে কলেজের বিভিন্ন কাজ করতে দেখা গেছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। এব্যাপারে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক পরিষদের (কাকশিপ) সাধারণ সম্পাদক আইসিটির সিনিয়র প্রভাষক শামীম আহমেদ জানান, জরুরী সভায় ২৪ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। জৈষ্ঠ্যতম শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়ে ২১ মে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্বাক্ষর সম্বলিত রেজুলেশনের কপি ও স্মারকলিপি কলেজ গর্ভণিংবডির সভাপতি বরাবর দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদায়ী অধ্যক্ষ মোঃ ছানাউল্লাহ জানান, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক এবং গর্ভণিংবডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি যাকে পছন্দ তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দিতে পারেন। ১৯ মে রোববারের সভায় আবেদনকৃত ৪ জন শিক্ষক কলেজ গর্ভনিংবডির সভাপতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে স্বাক্ষাতকারের ভিত্তিতে গর্ভণিংবডি মুহা. ওয়াজেদুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমাকে তার নিকট কলেজের যাবতীয় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে মোতাবেক ১৯ মে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেই ।

(এসকেডি/এসপি/মে ২১, ২০১৯)