গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুজ্জামান জনি (৩২) হত্যার ঘটনায় সোমবার ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ ঝলমলা গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে মোখলেছকে গ্রেফতার করে। এছাড়া রবিবর রাতে গৌরীপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামীকে গ্রেফতার করে। সোমবার (২০মে) তাদের আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৮), সবুজ মিয়ার ছেলে শান্ত (২৫), মৃত আনির উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (৬০) ও তার ছেলে শওকত ওসমান বাবু (২৫)। এর আগে রোবাবার রাতে নিহতের মা মোছাঃ দেলোয়ারা খাতুন ঝর্ণা বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ময়মনসিংহ ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান নারায়গঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা বরপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যমত আসামী মোখলোছকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হলে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গৌরীপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য নুরুজ্জামান জনিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের নহাটা বাজারে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী নূরু মিয়া (৪৫) ও তার সহযোগীরা।

নিহত জনির মা ঝর্ণা বলেন, ঘটনারদিন ইফতারের পর বাড়ি থেকে মোবাইলে কৌশলে ডেকে নিয়ে নহাটা বাজারে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে জনিকে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ী নুরু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এর আগে ওইদিন বিকেলে স্থানীয় বেখৈরহাটি বাজারে একটি চায়ের দোকানে নুরু মিয়ার সাথে জনির বাকবিতন্ডা হয়। এসময় জনিকে হত্যার হুমকী দিয়েছিল নুরু। তিনি বলেন, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি আজ সর্বশান্ত। জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান।

(এস/এসপি/মে ২২, ২০১৯)