মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগী উপজেলার সীমান্তর্তী ঝোপখালী এলাকা দিয়ে ডাকাতদল বুধবার রাত পৌনে বারোটার সময়ে মির্জাগঞ্জে প্রবেশের খবরে রাতজেগে পাহাড়া দিয়েছে পুলিশ ও গ্রামবাসী। 

জানা যায়, ঝোপখালী এলাকার একটি মসজিদে থাকা কিছু লোকজন ওই রাতে ৩০-৪০ জনের একটি দল দেখে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করেন এবং মসজিদের মাইকে ডাকাত-ডাকাত বলে মাইকিং করে গ্রাম্য মানুষগুলোকে সতর্ক করা হয়। এরপরেই ডাকাতদল বেতাগীর সীমান্ত পার হয়ে মির্জাগঞ্জে প্রবেশ করায় এমন আতংক ছড়িয়ে পড়লে মির্জাগঞ্জেও শুরু হয় মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যোম ফেইসবুকে সকলকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়।

এমনকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দীকির ফেইবুক থেকেও সকলকে সজাগ ও নিরাপদে থাকতে বলা হয়। এ খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন এবং সকলকে আতংকিত না হওয়ার জন্য বলেন। ওইরাতে পুলিশের তিনটি টহল গাড়ি সারারাত পাহাড়া দেয়।

ডাকাত আতংকে এলাকার নারী,পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবকসহ সকল শ্রেনীর মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া দেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেতাগী উপজেলার হোঁসনাবাদ, ঝোঁপখালী, কাবীল আকন বাধঁঘাট ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার বৈদ্যপাশা, কলাগাছিয়া, দেউলী, চত্রা, ডোকলাখালী ও চরখালী এলাকায় প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি ডাকাত দল চারদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বলে তাদের ধারনা গ্রামবাসীর।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মাছুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, বেতাগী উপজেলার সীমন্ত দিয়ে ডাকাতদল মির্জাগঞ্জে প্রবেশ করার খবর শুনে আমি থানার সকল ফোর্স নিয়ে ওইসব এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গাড়িতে টহল দিতে থাকি এবং গ্রামবাসীর জান-মাল রক্ষাসহ ডাকাতকদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি।

(ইউজি/এসপি/মে ২৩, ২০১৯)