অমল তালুকদার,পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় ছেলের সাবেক স্ত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপির ইটের আঘাতে রেনু বেগম (৫৫) নামে এক শাশুড়ির মাথা থেতলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছের পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ সিকদার। পবিত্র রমজানের জুম্মার দিন শুক্রবাার (২৪ মে) উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বাশতলার এই হিংসাত্মক ঘটনায় এলাকাবাসী স্তম্ভিত। আহত রেনু বেগম ওই গ্রামের আব্দুল খালেক খলিফার স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদশী কারিমা ও নুরজাহান বলেন, অনেক আগে থেকেই রেনু বেগম ছেলের সাবেক শ্বশুর সাবকে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্না ও তার মেয়ে লায়লা আক্তার পপি তাদের দলবল নিয়ে তাদের ঘর দখল করে নিয়ে নেয়। পরে আজ সকালে বাড়ির সামনে এসে গেট খোলা দেখে রেনু বেগম ঘরে ডুকতেই ভিতরে থাকা পপির ভাই আসফি ও সাথে থাকা ৫ থেকে ৭জন লোক তার উপরে হামলা চালায়। এ হামলায় সে ঘর থেকে বের হলে বাহিরে থাকা তার ছেলের সাবেক স্ত্রী পপি ও তার মা পারুল ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয়।

পরে পুলিশ এ খবর পেলে ঘটনা স্থলে এসে রেনু বেগমকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এর আগে রেনু বেগমের ছেলে ও পপির সাবেক স্বামী নোমানকে মারধর করে মেরে ফেলারও চেস্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নের সাবেক শাশুড়ি পারুল বেগম বলেন, আমরা তাদের মারধর করিনি উল্টো আমাদের মারধর করেছে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে উঠেছে। তবে রেনু বেগমের সাবেক পুত্রবধু লায়লা আক্তার পপি ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা স্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। রেনু বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের দুই পক্ষের একটা ঘর নিয়ে বিরোধ আছে, সেই ঘরটি মুলত খালেক মিয়ার । সেখানে পান্না মেম্বরের মেয়ে দখল করে আছেন। এখন যার ঘরে সেই থাকবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, এর আগেও পাথরঘাটা থানায় বাড়ি দখল ও মারধরের একটি মামলা করেছেন রেনু বেগম। সেই মামলায় পপির বাবা মহিউদ্দিন পান্না হাজতে আছেন

(এটি/এসপি/মে ২৫, ২০১৯)