রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আজ ভয়াল ২৫ মে। সর্বগ্রাসী আইলার আজ ১০ বছর পুর্তি। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকুলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত সাতক্ষীরায় আইলা দিবস ২০১৯  উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শ্যামনগরের নকিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠ থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নাজিুর রহমানের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউর হক দোলন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোড উপ সহকারি প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, জলবায়ু পরিষদের সদস্য আলেক-ই এলাহি প্রমুখ।

এ সময় বক্তবা বলেন, আমরা আমাদের বাব দাদাদের ভিটে বাড়ী ছেড়ে চলেযেতে চাই না। আইলা দুর্গত এলাকায় আমরা ত্রাণ চাইনা, টেকসই বাঁধ চাই। সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত: ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা “আইলা” আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় জনপদে। মুহুর্তের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদী পশু আর ঘরবাড়ি । গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখো পরিবার।

কিন্তু আজ ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের উপকুলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত হাজার হাজার পরিবার এখনও পূর্নবাসিত হয়নি। আশ্রয়হীন জনপদে এখনও চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির জন্য তীব্র হা-হা-কা-র। সর্বগ্রাসী আইলা আজও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার, হাজার মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

(ওএস/এসপি/মে ২৫, ২০১৯)