আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের বরফ গলে চোখের সামনে ধরা দিচ্ছে ভয়ঙ্কর এক দৃশ্য। এ পর্বতশৃঙ্গে উঠতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এত উঁচু থেকে তাদের মরদেহ নিচে নামিয়ে আনতে প্রচুর সমস্যা রয়েছে। এ কারণে নিহত বেশিরভাগের মরদেহই পড়ে রয়েছে লোকালয় থেকে বহু উঁচুতে বরফের নিচে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বরফ গলে ওইসব লাশই এখন বেরিয়ে আসছে পর্বতারোহীদের চোখের সামনে।

হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার থাকার কারণে এ লাশগুলো রয়ে গেছে একেবারে অবিকৃত। অপার্থিব স্বাদ পেতে চূড়ায় ওঠার পথে নিথর এ দেহগুলোই দাঁড়িয়ে রয়েছে পথটা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার সতর্কবার্তা হয়ে। অন্য লাশগুলো ঢেকে আছে বরফে, হয়তো কয়েক দশক আগে যেগুলোর এই পরিণতি হয়েছে।

কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এভারেস্টের হিমবাহগুলো গলে বেরিয়ে আসছে মরদেহগুলো।

নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আং শেরিং শেরপা বিবিসি নিউজকে বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বরফ দ্রুত গলছে, আর এর ফলে বহুবছর এসব বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো বেরিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে মারা যাওয়া অনেকের লাশ আমরা নিচে নামিয়ে এনেছি, কিন্তু পুরনো লাশগুলো এখন সামনে বেরিয়ে আসছে।

একজন এনজিও কর্মকর্তা বিবিসি নিউজকে বলেছেন, গত কয়েকবছরে বেসক্যাম্পেও হঠাৎ করে লাশের হাত-পা বেরিয়ে আসছে। আমরা লক্ষ্য করেছি বেসক্যাম্প ও এর আশপাশে বরফের স্তর নিচের দিকে নামছে আর এ কারণেই এসব লাশ এখন বেরিয়ে আসছে।

আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ১০টির মতো লাশ উদ্ধার করেছেন।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এভাবে লাশগুলো বেরিয়ে আসাটাই এখানে একমাত্র সমস্যা নয়। এত বছরে মানুষ পৃথিবীর পর্বতগুলোতে যত মলমূত্র ফেলে এসেছে সেগুলোও এখন বেরিয়ে আসছে। ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত ডেনালিতে প্রায় ৬৬ টন মানববর্জ্য হিমায়িত অবস্থায় রয়েছে। নিউজহাব।

(ওএস/এসপি/মে ২৬, ২০১৯)