আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের আমেথি আসনে জয়ী বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকে নিহত ওই ব্যক্তি ইরানির ছায়াসঙ্গী ছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। পৈতৃক আসন হিসেবে বিবেচিত আমেথিতে এবার হেরেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আমেথির বারাউলিয়া নামক গ্রামে এই খুনের ঘটনা গটে। নিহত ব্যক্তির নাম নাম সুরেন্দ্র সিংহ। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন বারাউলিয়ার এই প্রাক্তন গ্রামপ্রধান। স্থানীয়রা বলছেন, রাহুলকে তার নিজ আসনে হারানোর পেছনে বড় অবদান ছিল পঞ্চাশ বছর বয়সী ওই বিজেপি কর্মীর।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক জন হামলাকারী বাইকে চেপে সুরেন্দ্রর বাড়িতে যায়। তাদের প্রত্যেকের কাছেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। সুরেন্দ্র তখন ঘরে শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঘরে একদল মুখোশধারী ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর শোনার পর গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন।

স্থানীয়রা এসে বিজেপির ওই কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অমেথির পুলিশ সুপার বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণ না কি ব্যক্তিগত বিবাদের কারণে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অমেথিতে নির্বাচনী প্রচারের সময় স্মৃতি ইরানি ও সুরেন্দ্র’র বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জুতো বিলি করার অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী ও রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় বিজেপি।

মোদির বিজেপির কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন দল কংগ্রেস। শুধু কংগ্রেস নয় গত অর্ধ শতাব্দী ধরে যে আসনটি গান্ধী পরিবারের দখলে এবার সেই আসনে পরাজিত হয়েছেন দলটির সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই আসনটিই হলো উত্তরপ্রদেশের আমেথি। যেখানে ভোটের ফলাফল বের হওয়ার তিন দিনের মাথায় জয়ী প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটলো।

(ওএস/এসপি/মে ২৬, ২০১৯)