নিউজ ডেস্ক : গুপ্তচরবৃত্তির এই সময়ে প্রতিনিয়ত তথ্য হয়ে উঠছে এক দুর্ভেদ্য অস্ত্র হিসেবে। যার কাছে যত বেশি তথ্য সে তত বেশি ক্ষমতাধর। বর্তমান প্রাযুক্তিক জামানায় তথ্যই শক্তি। বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান গুগল সম্প্রতি মানুষের শরীর থেকে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপাত তারা বলছে এই তথ্য তারা নিচ্ছে মানব কল্যানে কিন্তু অদূব ভবিষ্যতে এই তথ্যই যে মানুষের বিপরীতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হবে না, তা কে বলতে পারে।

সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের শরীর থেকে তথ্য নেয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে গুগল। ব্যাসলিন স্টাডি নামক একটি প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭৫ জন মানুষের শরীরের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে গুগল। পরবর্তীতে হাজার খানেক মানুষের শরীরের তথ্য নেবে তারা। মানুষের শরীরের রোগ সম্পর্কে জানার জন্যই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিখ্যাত জৈব অনু বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু কনার্ডের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। মানুষের শরীরের কোন কোষ দ্রুত সংক্রমিত হয় এবং তা প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, এই তথ্যগুলো সংগ্রহের জন্যই এই প্রকল্পটি চালানো হচ্ছে।

এবিষয়ে অ্যান্ড্রু কনার্ড জানান, ‘মানব জাতি ইতোমধ্যেই অনেক রোগে আক্রান্ত। আমরা রোগ সারানোর কাজ নয়, বরং প্রশ্ন করার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছি। যদি আমরা রোগ সারাতে চাই তাহলে কোন বিষয়গুলো আমাদের জানতে হবে, এটাই আমাদের প্রধান প্রশ্ন। এটা কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন নয়।

প্রাথমিকভাবে মানুষের শরীর থেকে তথ্য নেয়ার জন্য গুগল তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যেমন গুগল চোখের চশমা, ঘড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে এই তথ্য নেয়া হচ্ছে। যেমন চশমার মাধ্যমে গুগল খুব সহজেই জানতে পারছে চশমা ব্যবহারকারীর সুগার লেবেল কতটুকু ইত্যাদি। এভাবে দীর্ঘমেয়াদে তথ্য সংগ্রহের পর গুগল রোগ নিরাময়ী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তথ্যগুলো পর্যালোচনা করবে।

(ওএস/এটিঅার/জুলাই ২৭, ২০১৪)