জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ ও ইহার বিধিমালা ২০১৭ বিষয়ে অবহিত করণ সভা সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশতিয়াক ইমন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী, পৌর মেয়র হাজি খলিল উদ্দিন, ডা. খালেদ আহমদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ। সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ব্যতিত অন্য কোন খাবার প্রদান করা যাবে না। গুড়াদুধ খাওয়ানোর ফলে শিশু ঘনঘন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কান পাকা, স্বাসকষ্ট, চর্মরোগে আক্রান্ত হয়। ফলে শিশু পুষ্টি হীনতায় ভোগে ও মৃত্যুর ঝুকি কয়েকগুন বেড়ে যায়। প্রকৃয়াজাত কোন দুধ বা খাদ্য খাওয়ালে শিশুদের ভবিষ্যতে ডায়বেটিস, হৃদরোগ ও স্থুলতা হওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পায় এবং শৈশবকালীন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় । বোতল, চুষনী, বোটায় বিসফেনল এ থাকে যা শিশুর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রক্রিয়াজাত যে কোন খাদ্যে ডিএইচএ শিশুর বুদ্ধি বিকাশে কাজ করে না।

গুড়ো দুধে শিশুর বদহজম, মস্তিস্ক বৃদ্ধি না পাওয়া ও শিশুদের অপরিনত কিডনীর জন্য ক্ষতিকারক উল্লেখ করে বলেন, বাহারী বিজ্ঞাপন দেখে মায়েরা গুড়া দুধের প্রতি ঝুকে যায় যা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ এবং ৬ মাসের পর শিশুকে ঘরে তৈরী পুষ্টিকর পরিপুরক খাবার দিতে হবে। ঘরে তৈরী প্রচলিত অনেক দেশীয় খাবারের দ্বারা শিশুকে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তোলা যায় যা গবেষনায় প্রমাণিত হয়েছে।

মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহার ব্যবহারে সরঞ্জামাদি আমদানী, বিপনন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরনের উদ্দেশ্যে, কোন বিজ্ঞাপন মুদ্রন, প্রদর্শন, প্রচার বা প্রকাশ করা দন্ডনীয় অপরাধ বলেও উল্লেখ করা হয়।

স্বাস্থ্যসবল ও উন্নত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে মাতৃদুগ্ধই শিশুর একমাত্র পুষ্টিকর ও পরিপুরক খাবার, গুড়ো দুধকে না বলুন এমন সচেতনা গড়ে তোলার আহবান জানান বক্তারা।

(এসপি/এসপি/মে ২৭, ২০১৯)