নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পাকা ধানে মই দিয়ে ধান নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফনির প্রভাব, ঘন ঘন বৃষ্টি, শ্রমিক সংকট সর্বোপরি ধানের দরপতনে যখন কৃষক দিশেহারা, ঠিক তখনই সমাজের এক শ্রেণির দুস্কৃতকারীচক্র প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে জমি জবর দখল করার জন্য রাতের আঁধারে পাকা ধানে মই দিয়ে সমস্ত ধান নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বুধরিয়া গ্রামে। 

জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাতে বুধরিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রশিদের বুধরিয়া মৌজায় ১একর ৪৫ শতাংশ জমির বোরো পাকা ধান মই দিয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়। পরদিন রবিবার সকাল ১০টায় আব্দুর রশিদ ও তার দুই ছেলে আরফান ও ইমরান সেই মই দেয়া ধান কাটতে গেলে একই গ্রামের ইয়ার মোহাম্মাদের ছেলে আয়নাল হক (৫৫), মৃত- বশির উদ্দিনের ছেলে মোশারাফ হোসেন (৪০), আজাহার আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০), জফের আলীর ছেলে তাইজুল ইসলাম (৪০), ছাদেক আলীর ছেলে মিলন (৩০), তমিজ উদ্দিনের ছেলে তোফা (৩৪), আমির উদ্দিনের ছেলে আতাব উদ্দিন (৬০) ইয়ার মোহাম্মাদের ছেলে আলম (৩২) এবং নারীসহ ১১/১২জন লাঠি, হাসুয়া, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে আব্দুর রশিদ বলেন, আমার এই জমি ওয়ারিশ সূত্রে আমি প্রাপ্ত হই। কিন্ত প্রতিপক্ষ আয়নাল হক গং জমিটির মালিকানা দাবী করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে মামলা করি। দীঘদিন মামলা চলার পর গত দুই বছর আগে আমি ডিক্রী পাই। এতদিন জমিটি আমরাই ভোগ দখল করে আসছি। এবার আমরাই বোরো ধান রোপন করি। আমরাই পরিচর্যা করি। যখন পাকা ধান কাটার সময় হয়েছে ঠিক তখনই তারা শত্রুতামূলক পাকা ধানে মই দিয়ে সমস্ত ধান নষ্ট করে দিলো।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোরিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন খবর আমার জানা নেই। এমন কোন অভিযোগও এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এসপি/মে ২৭, ২০১৯)