চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় জামাইকে শিকল দিয়ে বন্দি করার ঘটনা ঘটেছে। শ্বশুড় বাড়ির লোকজন জামাইকে শিকল দিয়ে বেধে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সোমবার সকালে জীবননগর উপজেলার হ্যালিপেড সংলগ্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সোহরাব হোসেনের সাথে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হ্যালিপেড সংলগ্ন গ্রামের হারেজ আলির মেয়ে নিলা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করত নিলা খাতুনকে।

কয়েক দিন আগে মোবাইল ফোনে টাকা ভরাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই এক পর্যায়ে বাটাম দিয়ে পিটিয়ে নিলা খাতুনের হাত ভেঙে দেয়ে স্বামী। নিলা খাতুন কয়েক দিন আগে পিতার বাড়ি জীবননগরে চলে আসে।

স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে রোববার রাতে শ্বশুড় বাড়িতে আসে জামাই সোহরাব হোসেন। রাতে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে তাড়িয়ে দিলে সে গ্রামের একটি চায়ের দোকানের মাচায় রাত্রিযাপন করেন। সোমবার সকালে আবার শ্বশুড় বাড়িতে গেলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন জামাইকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখে।

নিলা খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন আমাকে নির্যাতন করত। মেয়ের মুখ চেয়ে পিতার কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে দিয় স্বামীকে। কয়েক দিন আগে সামান্য বিষয় নিয়ে আমাকে মারপিট করে একটি হাত ভেঙে দেয়। তারপর পিতার বাড়ি চলে আসি।

জীবননগর থানার ওসি শেখ গনির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।

(টিটি/এসপি/মে ২৭, ২০১৯)