মানিক বৈরাগী


কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলে একজন ইয়াব ব্যাবসায়ীর পিতা ও স্টেক হোল্ডার কে দেখতে পাচ্ছি। সে সাংবাদিক ছালামত উল্লাহ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি। তাকে আইন ভঙ্গ করে ইফতারে দাওয়াত দিয়ে বা সুযোগ দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রথমত বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। আর প্রবিত্র ইফতারকে মকরুপ করেছেন।

আর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জহর লাল পাল চৌধুরীর ৭১বাড়িঘর লুটপাট কারি, সাবেক জাতিয় পার্টি ও পরে আওয়ামিলীগ নেতাকে রাজাকার জাফর চেয়ারম্যান কেও দেখা যাচ্ছে।

মকসুদ এর পিতা মুহম্মদ ও জকরিয়া মলই জহর লাল পাল চৌধুরীর বোনের নির্যাতন কারি হিসাবে নথি ভুক্ত অপরাধী। সেই অনুযায়ী কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথেও প্রতারণা করেছে। আর সীগাল হোটেলের সাথে তারেক জিয়ার অংশিদার ভুক্ত বলে বিএনপি নেতারাও বলে। তখন কার সময়ে প্রথম আলো ও জনকন্ঠে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। এই নিউজ পাবেন প্রেস ইনস্টটিউটের আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। তাহলে আওয়ামীলীগের টাকাটা বিএনপির পকেটে তুলে দিলো আওয়ামীলীগ নেতারা?

যদি ইফতার ও হলে সীগাল হোটেলের অংশিদারিত্ব থাকে তাহলেও ইফতার মাকরুপ হবে।কারন হোটেল টির অর্ধেক জায়গা সরকারের জমি,অবৈধ ভাবে দখলে আছে। প্রশাসন মাসে মাসে দখল উচ্ছেদ করে এই হোটেল থেকে। কেউ যদি ব্যাক্তিগত ভাবে এই আয়োজন করে কোন ব্যাক্তির নামে সে খানে আমার কিছুই বলার নাই। আর যদি আওয়ামীলীগের উদ্যোগে হয়ে থাকে তাহলে নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশ আছে আওয়ামীলীগে কোন অপরাধী, ইয়াবা গডফাদার, হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সংশ্রব থেকে বিরত রাখতে। এটি নেত্রীর প্রতক্ষ নির্দেশ আছে। সেখানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ কি তা মান্য করেছেন?

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হলো কৃষক শ্রমিক গরিব মেহনতী মানুষের শ্রম ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল।আগে আওয়ামীলীগের ইফতার হতো পাবলিক লাইব্রেরি বা আওয়ামীলীগের পুরাতন অফিসের মাঠে।যাতে সখল স্থরে মানুষ সারাদিন রোজা রেখে পেটভরে ইফতার করতে পারে।ফলে রোজা ও ইফতারির মোনাজাতের ইসালি ছোয়াব পিতা মুজিব সহ ৭৫র আগস্টের সকল শহীদ,জাতিয় চার নেতা,শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবরে পৌছাতে পারে।

এখন বড়লোকের হোটেলে বড়লোক নেতাদের ইফতার মাহফিলে কৃষক, ক্ষেতমজুর শ্রমিক, জেলে, জেলে শ্রমিক,রিকশা ওয়ালা। ভবঘুরে সহ সাধারণ আওয়ামীলীগ কর্মীরা ইফতারি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতারা কোটিপতি হলেও সাধারণ মানুষ নিস্ব থেকে নিস্বতর হচ্ছে।বর্তমানে কক্সবাজারের জেলে পরিবারে জন দুর্ভিক্ষ চলছে।

এমনতর অবস্থায় অতি দামি হোটেলে আওয়ামীলীগের গণ ইফতার পার্টির আয়োজন কতটা যুক্তি সঙ্গত।কোন সাধারণ আওয়ামীলীগ কর্মী ইফতার পার্টির খবর শুনে অংশ নিতে চাইলে লালদীঘির পাড় থেকে কেনো আসা যাওয়া ১০০টাকা খরচ করে ইফতার খেতে যাবে? তাহলে এই ইফতার পার্টি কি শুধু আওয়ামীলীগের এলিট ফোর্সের জন্য? এ কারনে আয়োজন ও ইসলামের দৃষ্টিতে মাকরুপ।

প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতাদের স্বেচ্ছাচারী জনবিচ্ছিন্ন কর্মসূচির কারনে আওয়ামীলীগ নেত্রী ও আওয়ামীলীগ কে তারা জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছেন না? এমনিতেই অধিকাংশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিনা ভোটে আর মাননীয় এমপি মহোদয় গণের কথা আর কি বলবো।

হোটেল সীগালে মদের বার চালু আছে, সাথে ডিস্কোবার।এসব স্থানে একটি রাজনৈতিক দল যদি ইফতার মাহফিল করে তাহলে আয়োজক রোজাদারের ইফতারির আহকাম আখলাক তরক করেছে।ইমানদার মুমিন মুসলমানদের বছরে একমাসের রোজার মতো ফরজ ইবাদত তরক করার অধিকার রাখেন না।

আর আওয়ামীলীগ স্বয়ং নিজেই আইন কে অবজ্ঞা করে তাহলে অপরাধী ও অন্যান্যদের উপর আইন প্রয়োগ করবে কি করে আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা। এখানে তো শেখ হাসিনাই তো অকার্যকর হয়ে যায়।

পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি শেখ হাসিনা কে আল্লাহ হেফাজত করুক পাশাপাশি এসব আজগুবী নেতাদের হেদায়েত করুক। আমেন।

লেখক : নব্বইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা ও কবি, কক্সবাজার।