লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমান ও তার বন্ধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেনকে মারপিট করেছে একদল দূর্বৃত্ত। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযুক্ত কোন আসামীকে আটক করতে পারে নাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির মঙ্গলহাটা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ও ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান এবং তার বন্ধু একই ইউপির চরমঙ্গলহাটা গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আশিকুর ও তার বন্ধু ফারুক হোসেন পার্শ্ববর্তী মল্লিকপুর গ্রামে এক আত্মীয়েরর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে অংশ গ্রহণ করার জন্য রওনা দেন। এসময় আশিকুর উপজেলার কুন্দশী চৌরাস্তা মোড়ে একটি মুদি দোকানে জুস কেনার জন্য যান। দোকানদার মহসীন শিকদার তাকে একটি মেয়াদ উত্তীর্ন জুস দেয়। এ নিয়ে আশিকুর ও দোকানদার মহাসীন সিকদারের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়।

এ সময় দোকানদার মহসীনসহ তার তিন ছেলে কামরুল শিকদার, ইমরান শিকদার ও মনিরুল শিকদার অতর্কিতভাবে ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুরকে মারপিট করে আহত করে। মারপিট ঠেকাতে এসে ফারুক হোসেনও মারপিটের শিকার হন। ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতা ক্ষীপ্ত হয়ে ওই দোকানদারসহ তার ছেলেদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মারপিটের শিকার ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমান ও তার বন্ধু ফারুক হোসেন বলেন, সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে ওই দোকানদারসহ তার ছেলেরা আমাদের বেধড়ক মারপিট করেছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুবাস বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের ভাই আ. সামাদ বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।

(আরএম/জেএ/জুলাই ২৭, ২০১৪)