স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রচণ্ড রকমের রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি।

তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠীর বাইরে আর কেউ রাজনীতির মাঠে নেই বললেই চলে। জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো আন্দোলন গড়ে উঠছে না। সবাই নিজ নিজ দলের নেতার মুক্তির কথা বললেও জনগণের কথা বলে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ রংপুর বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স তিনি এ কথা বলেন।

টেলিকনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর আসন্ন অথচ পোষাক শ্রমিকরা এখনও বেতন-বোনাস নিয়ে উদ্বিগ্ন, কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের পিলার ভেঙে সরকারি দলের ইউনিট নেতা স্ত্রীর দোকান বড় করছেন, রূপপুরে ভুয়া বিলের মাধ্যমে লুটপাটের উৎসব চলছে অথচ সরকার নির্বিকার। এভাবে কোনো রাষ্ট্র চলতে পারে না। বিরোধী দলগুলোও এসব নিয়ে কার্যকর কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদীর নতুন শক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ন্যাপকে সংগঠিত করতে হবে।

এ সময় ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ আজ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে অর্থলগ্নি করে ফায়দা তুলছে। সত্যিকার রাজনীতিবিদরা এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। বাংলাদেশ ন্যাপ মওলানা ভাসানী, যাদু মিয়া ও শফিকুল গানি স্বপনের প্রদর্শিত পথে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

এ সময় রংপুরের দলীয় কার্যালয়ে ন্যাপ রংপুর জেলা সমন্বকারী রেজাউল করিম রীবন, মহানগর যুগ্ম সমন্বয়কারী যুবরাজ চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আলম, নীলফামারী জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী ওয়াহিদুর রহমান, গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়কারী লিটন চৌধুরী, লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়কারী আবদুল হক, কুড়িগ্রাম জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী শিউলী বেগম, পঞ্চগড় জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/মে ৩০, ২০১৯)