উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী কুমিল্লার মন্দভাগ ও শালদা নদী এলাকার অবস্থান পরিত্যাগ করে নয়নপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে তাঁদের নতুন ঘাঁটি স্থাপন করে। এতে মন্দভাগ ও শালদা নদী মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।

গোপালগঞ্জের রাজপুরে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়। দেশের এই অঞ্চলের মধ্যে রাজপুরই সর্বপ্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী প্রতিরক্ষা ব্যুহের দায়িত্বে ক্যাপ্টেন অলির স্থলাভিষিক্ত হন ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা।

ঝালকাঠিতে রাজাকার বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী ঝালকাঠির নলছিটি থানার বিরাট গ্রাম থেকে বরিশাল আদালতের এ্যাডভোকেট জিতেন্দ্রলাল দত্ত, তাঁর পুত্র সাংবাদিক মিহিরলাল দত্ত, সুধীরলাল দত্তসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বহুসংখ্যক লোককে ধরে নিয়ে পাকসেনাদের কাছে সোপর্দ করে।

ময়মনসিংহে পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর গোপন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ চালায়। অপরদিকে পাকসেনারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু তরুণকে গ্রেফতার করে এবং বহু নিরীহ মানুষকে বর্বরদের পৈশাচিকতায় নিহত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. এম.এন.হুদা, ড. এ.বি.এম. হাবিবুল্লাহ, ড. এম. ইন্নাস আলী, ড. এ.কে.নাজমুল করিম, ড. মফিজুল্লাহ, কবির, অধ্যাপক আতিকুজ্জামান খান, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ড. কাজী দীন মুহাম্মদ, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, ড. এস.এম. আজিজুল হক, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ড. এ.কে রফিকুল্লাহসহ প্রায় সকল শিক্ষক কাজে যোগদান করেছেন।

পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা নুরুজ্জামান ঢাকার দিলকুশায় ‘শান্তি কমিটি’ গঠন করেন। ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক মনোনীত হন জামশেদ আলী ও আমীর বক্শ।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/ জুন ০১, ২০১৯)