মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : সম্প্রতি বড়লেখায় নিজ বাড়িতে খুন হওয়া মৌলভীবাজার জেলা বারের আইনজীবী আবিদা সুলতানার বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ইমাম তানভির আলম ও তার পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে আবিদা ইমাম তানভীর আলমকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তানভীর কোন ভাবেই  বাড়ি ছাড়ছিলনা না। এ নিয়ে মালিক আর ঐ ভাড়াটিয়া ইমামের সাথে দ্বন্ধ তৈরী হয়। মূলত এসব দূরত্ব থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার দিন তানভীরের সাথে আইনজীবীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে তানভির ক্ষোভে আইজীবীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে পানির ফিল্টারের পাথর দিয়ে আঘাত করায় আবিদার মৃত্যু হয়।

শনিবার (১জুন) দুপুর ৩টার দিকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে বড়লেখার নিজ বাড়িতে খুন হওয়া নারী আইনজীবী আবিদা হত্যার রহস্য উন্মোচন নিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম।

তিনি আরোও বলেন, ৩১শে মে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে তানভীর বিষয়টি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এই হত্যার সাথে শুধু তানভীরই জড়িত। ঘটনার দিন ২৬ মে তানভির বাড়িতে একা ছিল। তার মা বাহিরে এবং স্ত্রী মাদ্রাসায় ছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন এখানে ধর্ষণেরও কোন আলামত পাওয়া যায় নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি বলেন, আবিদা তানভিরকে বলেছিলেন তার লুঙ্গি খুলে ফেলবেন। এই কথার ক্ষোভ থেকেই তানভির আবিদাকে আঘাত করার পর শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলে। তবে ধর্ষণের কোন আলামত তদন্ত ও মেডিকেল কিংবা তানভিরও স্বীকারোক্তি দেয়নি। এঘটনার সাথে পরিবারের অন্য কেউ জড়িত নয়।

জানা যায়, ছুটির দিনে প্রায়ই পৈতৃক বাড়ি দেখাশোনা করতে যেতেন আবিদা। পৈতৃক বাড়িতে চার কক্ষবিশিষ্ট ঘরের দুই কক্ষে আবিদা সুলতানা ও তার বোনেরা বেড়াতে আসলে থাকেন। বাকি দুটোতে ভাড়া থাকতেন তানভীর আলমের পরিবার। তিনি তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম। ঘটনার প্রায় চার মাস আগে তানভীরকে বাসা ভাড়া দেন আবিদা।

(একে/এসপি/জুন ০১, ২০১৯)