রাজন্য রুহানি, জামালপুর : স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর নাবালক মেয়ে শারমিনকে ফিরে পেতে চায় অসহায় মা। ৩ মাস ধরে আমার বুকের ধন আমার কাছে নেই। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চায় বলে সংবাদ সন্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শারমিনের মা মুক্তা বেগম।

জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে রোববার দুপুর ১২টায় অপহৃত শারমিনের পরিবার এক সংবাদ সন্মেলন করে।

সংবাদ সন্মেলনে শারমিনের মা মুক্তা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মেলান্দহ উমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। ১৬মার্চ বিকাল ৫টায় কোচিং শেষে দেওলাবাড়ী গ্রামে বাড়ী ফেরার পথে স্কুল গেইট থেকে অপহরন করে সোহেল রানার (১৯) নেতৃত্বে অপহরনকারীরা। বাড়ী না ফেরায় অনেক খুঁজাখুজির পর ১৯ মার্চ মেলান্দহ থানায় অপহৃতের মা মুক্তা বেগম বাদী হয়ে সোহেল রানাকে প্রধান আসামী করে অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আমার মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশ গড়িমসি করে। পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজহার ইসলাম শারমিন আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরনকারী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করে।

আদালত অপহৃত শারমিন নাবালিকা হওয়ায় মায়ের জিম্মায় দেয়। আদালত থেকে বাড়ী ফেরার পথে মেলান্দহের বেতমারী এলাকায় পথরোধ করে অপহরনকারীরা ফের আমার মেয়েকে সিএনজি চালিত অটোরিকসাযোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। থানায় জিডি করতে গেলে বলে নতুন করে জিডি করার প্রয়োজন নেয়। আগের মামলারই কার্যক্রম চলবে। অপহরনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। মেয়েকে ফেরত পেতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান মুক্তা বেগম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রী শারমিনকে উদ্ধার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছিল। পুনরায় অপহরনের শিকার হয়েছে। নতুন করে অপহরন মামলা নেয়ার সুযোগ নেয়। শিগ্রই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।

(আরআর/এসপি/জুন ০২, ২০১৯)