শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাগেরহাটের পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত দুটি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড স্পট সুন্দরবন ও ষাটগুম্বুজ মসজিদ।  প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও পর্যাটনস্পট গুলোতে অবাদ যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ও জেলা প্রত্নতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।  

এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষ্যে সুন্দরবনে আশা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুন্দরবনের পর্যটনস্পট গুলোতে অবাদ যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিমিত করা হয়েছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বনরক্ষীদের ছুটি। আর ষাটগুম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজার, বারাকপুরে অবস্থিত সুন্দরবন রির্সোট সেন্টার, শহরের দশানী পার্ক ও শহরের দড়াটানা নদী সংলগ্ন পৌর পার্কসহ জেলার পর্যটনস্পট গুলোতে পর্যটকদের কছে আকর্ষনীয় করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ষাটগুম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলীর মাজার এলাকায়সহ বারাকপুরে অবস্থিত সুন্দরবন রির্সোট সেন্টার, শহরের দশানী পার্ক ও শহরের দড়াটানা নদী সংলগ্ন পৌর পার্ককে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করতে বিভিন্ন আলোকসয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাগেরহাট ষাটগুম্বুজ মসজিদের কাষ্টডিয়ান গোলাম ফেরদৌস জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশ^ ঐতিহ্য ষাটগুম্বুজ মসজিদে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ব্যপক আগম ঘটে। ঈদের সময় জেলার বাইরে থেকে চোখে পড়ার মত দর্শানাথীরা এখানে ঘুড়তে আসে। এসময় পর্যাটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসের একটি টিমসহ জেলা প্রতœতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহামুদুল হাসান জানান, ঈদে সুন্দরবনের করমজল, কচিখালী, হিরন পয়েন্ট ও দুবলারচরসহ পর্যটনস্পট গুলোতে আগমন ঘটে হাজার হাজার পর্যটকদের।

ম্যানগ্রোভ এই বনে বর্তমানে পর্যটন মৌসুম না হলেও ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল, শরণখোলা রেঞ্জসহ সন্নিহিত বন লোকালয়ে ট্যুরিষ্ট স্পটগুলোতে আগত দেশী-বিদেশী ইকোট্যুরিষ্টদের নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণিসহ বনজ সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাড়ায়। সেকারনে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারির ঈদের ছুটি সিমিত করা হয়েছে।

এছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ইকো-টুরিস্টদের ঢল সামাল দিতে, পেশাদার চোরা শিকারি ও মৌসুমি শিকারি প্রবেশ-বন্যপ্রাণী পাচার রোধে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারির পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করা হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/জুন ০৩, ২০১৯)