স্পোর্টস ডেস্ক: নাথান কোল্টার নাইল নাকি বাজে আম্পায়ারিং? কার কাছে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কার্লোস ব্রাফেটের উত্তর শুধুই ‘বাজে আম্পায়ারিং’। সত্যিই গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির একের পর এক ভুল ছিল যথেষ্ট দৃষ্টিকটু।

ক্রিস গেইলের পোড়া কপাল। নিজেদের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাঁর বিরুদ্ধে তিন-তিনবার আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার গ্যাফানি। দুবার বেঁচেছেন রিভিউ নিয়ে। কিন্তু তৃতীয়বারে দুর্ভাগ্য। রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ারস কল’ নামের বিষয়টি তাঁকে বাঁচতে দেয়নি। কিন্তু মজাটা সবাই একটু পর। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল গেইল যে বলে আউট হয়েছেন, সেটি করার আগে মিচেল স্টার্ক করেছেন বিশাল এক নো বল। ক্রিজের অনেক বাইরে পা ফেললেও গ্যাফানির চোখ এড়িয়ে গেছে তা। মাশুল দিলেন গেইল, মাশুল দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফ্রি হিট পাওয়ার কথা যেখানে, সেখানে গেইলকে ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে। এমন বাজে আম্পায়ারিং শেষবার কবে দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া!
আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন ব্রাফেট। কিন্তু জরিমানা গোনার ভয়ে হতাশাটা ঠিক পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেননি, ‘আমি জানি না এ নিয়ে কথা বললে আমার জরিমানা গুনতে হবে কিনা, কিন্তু আমি মনে করি আজ আম্পায়ারিং খুব হতাশাজনক ছিল। আমরা যখন বোলিং করছিলাম তখনও মনে হয়েছিল কিছু ওয়াইডের সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। অবশ্যই এক ওভারে তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত আরও হতাশার। ২৮০ রানের টার্গেটে এমন ভুল সিদ্ধান্তে ক্রিসের আউট হওয়ায় আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত সূচনাটা পাইনি। ও এমন ব্যাটসম্যান যে একাই ১৮০ রান করার সামর্থ্য রাখে। তবে আম্পায়ারদের যা মনে হয়েছিল তখন তাই করেছেন, তাঁরা তাদের সর্বোচ্চটুকুই করেছেন।’
আম্পায়ার গ্যাফানির সিদ্ধান্ত কতটা ‘হাস্যকর’ ছিল, সেটি বলেছেন ব্রাফেট, ‘ড্রেসিং রুমে টিভিতে ব্যাপারটা দেখে আমি খুব হাসছিলাম।আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি বলব আজকে দিনটা আমাদের ছিল না।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এখন আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশ্বকাপের মতো আসরে এমন ভুল যে কোনো দলের জন্যই মানা কষ্টের। গেইল আউট না হলে ফলাফলটা ভিন্নও হতে পারত। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাই পরাজয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা।

(ওএস/পিএস/০৭ জুন, ২০১৯)