স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন বসছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ জুন)। ওই দিন বিকেল ৫টায় সংসদ ভবনে এ অধিবেশন শুরু হবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার।

বাজেট উত্থাপনের পর ২৭ বা ২৯ জুনের মধ্যে সাধারণ আলোচনা শেষ করে অর্থ বিল পাস হবে। এরপর ৩০ জুন প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর কার্যকর হবে।

এ অধিবেশন কতদিন চলবে তা কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর একঘণ্টা আগে এ কমিটির বৈঠক হবে।

জানা গেছে, ১৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আসছে বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। এ বাজেটে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুই দিককে সমান গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নির্বাচনী ইশতেহার আর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আয়-ব্যয় তথা প্রবৃদ্ধির সুষম বণ্টনে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেটের আকার কিছুটা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেয়ার আগে এর আকারেও পরিবর্তন আসতে পারে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ইতিহাস সৃষ্টিকারী। যার পরিমাণ তিন লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছর ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। আয়-ব্যয়ের বিশাল লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতিও হবে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড়। যার পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি।

চলতি অর্থবছরের বাজেট চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তার ওপর নির্ভর না করে ধীরে ধীরে নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট প্রণয়নের কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী বাজেটে আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে।

বাজেট অধিবেশন সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজেট অধিবেশন হওয়ায় সংসদ সচিবালয় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। বাজেট পেশের দিন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা সংসদে উপস্থিত থাকেন। এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হয়। এবারও তা করেছে সংসদ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাজেট ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক। এ ডেস্ক থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাবেন এমপিরা।’

জানা গেছে, এটি চলমান একাদশ সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। এর আগে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২৪ এপ্রিল। মাত্র পাঁচ কার্যদিবস চলা এ অধিবেশন শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

(ওএস/পিএস/১০ জুন, ২০১৯)