কাজী রহমান

অনেককাল আগে।

যখন কিছুই শেখেনি মানুষ; ভাবনা ছাড়া,
দিনরাত ধরে
পশুর মতই গিলেছে বনবাদাড়ের ঐ যাচ্ছেতাই।
মরতে মরতে,
একসাথে হওয়া কাকে বলে-জানলো বাঁচতে।
বেঁচে দেখলো,
কিছু দাঁতাল শুয়োর; মত্ত পশুরাই প্রতিপক্ষ,
এবং মুলত
খাবারের তরে দাগ কেটেছে পেশল জন্তু।

তখনও মানুষ
বেঁচেছে, মুক্ত মেধাবী অস্তিত্বে ভর করে।

অথচ আজকে,

হিংস্র ক্ষমতাপেশল পূজারী জন্তুমানব, উলঙ্গ উল্লাসে,
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে,
ঈশ্বরভীত কম্পমান নোয়া মানুষগুলোকে ছিঁড়ে খায়,
অবিরাম বারবার ….
জাতিকেটে দাগ টানে, লোভী, মৌ-লোভী মানুষ,
শুষে খেতে,
ভয় দেখিয়ে শূন্যে বানায় স্বরচিত স্বর্গ-নরক,
লুটেরা স্বার্থমানব।

অযত্ন অবহেলায়
গাছ পোড়ে মাঠ পোড়ে, পোড়ে বরফ
কালের অপেক্ষায়।

অনিয়মের নিয়মে,
তবুও কোথাও অল্প কিছু ঘাড়ত্যাড়া মানুষ।
নিজের মনেই
অগস্ত্য রঁদ্যার ভাস্কর্যের মত ভাবতে বসে।
সাগর আকাশ
একাকার করে উত্তর খোঁজে, আলোর তরে,
বাইরে ছুঁড়ে
বাঁধাই খাতা, ভালোবাসে জিজ্ঞাসা, নিবিড় কৌতূহলে,
একান্তে, মুক্তমনে।