স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র আধঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টির ফলে নগরের অনেক এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে সয়লাব হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামে মাঝারি আকারের বর্ষণ শুরু হয়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতর জানায়, শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত আধঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাঝারি আকারে বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।

ফ্লাইওভারেও পানি জমে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে নগরের দু নম্বর গেট, মুরাদপুর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিকসহ বিভিন্ন এলাকা ডুবে যায়। সেই সাথে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল।

নগরের মুরাদপুরের বাসিন্দা আবির সেন রাজু বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুরে হাঁটু পানি। মোড়ে অনেকক্ষণ গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে নগরের অধিকাংশ রুটে গণপরিবহন শূন্য হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। অন্যদিকে বৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে রিকশাচালকরা কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারে। ফলে বেকায়দায় পড়েন ব্যবহারকারীরা। এতে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে চালকদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতে দুই নম্বর গেট হতে বায়েজিদ মুখী র‌্যাম্প ও লুপের উঠা-নামার স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য অংশের মতো পাইপ থাকলেও সেখানে পানি জমে থাকছে দীর্ঘক্ষণ। এ ছাড়া মূল ফ্লাইওভারের অনেক স্থানে জমে গেছে পানি।

পানি জমে যাওয়ার স্থানগুলো ঘুরে দেখা যায়, নিষ্কাশনের জন্য লাগানো পাইপগুলো সরু হওয়ায় দ্রুত পানি সরছে না। পাইপলাইনের সংযোগস্থলগুলোতে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট ছিল। তাছাড়া পাইপের মুখ বালু, মাটি দিয়ে ভরাট।

সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে ফ্লাইওভারের অন্যান্য স্থানে জলজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবুও প্রয়োজন হলে অন্যান্য পাইপগুলো পরিবর্তন করে বড় পাইপ বসানো হবে।

(ওএস/পিএস/১৫ জুন, ২০১৯)