গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : মায়ের পক্ষ নেয়ায় নিজের সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এক পাষ- পিতা। অভিযুক্ত ওই পিতার নাম রিপন মিয়া(৫০)। আহত পুত্রের নাম পলাশ মিয়া (২০)। 

ঘটনার দিন রাতের বেলা পলাশের পিতা রিপন মিয়া কৌশলে পলাশকে কড়মরিয়া বিলের পাশে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। গুরুতর আহত পলাশ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কড়মরিয়া গ্রামে ৮ জুন রাতে। এ ঘটনায় পলাশের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে রিপন মিয়াকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সন্তানের ওপর পিতার হামলার ঘটনাটি প্রথম দিকে চাপা থাকলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছর পূর্বে নেত্রকোনার মদন উপজেলার খাগড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে রিপন মিয়ার সাথে বিয়ে গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কড়মরিয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে জাহানারা বেগমের। দাম্পত্য জীবনে তাদের পলাশ মিয়া ও বিউটি নামে দুটি সন্তান রয়েছে। ৬ মাস পূর্বে রিপন মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে প্রথম স্ত্রী জাহানারা ও তার সন্তানদের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। ৪ মাস পূর্বে জাহানারা তার স্বামী রিপনকে আদালতের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠায়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন গত ৮ই জুন রাতে কৌশলে পলাশকে কড়মরিয়া বিলের পাশে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন পলাশকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর মনোমালিন্য হলে পলাশ সবসময় আমার পক্ষে কথা বলতো। তাই প্রতিশোধ নিতে পলাশেরর ওপর হামলা করেছে ওর বাবা। আমি এর বিচার চাই।

আহত পলাশ বলেন, ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছি। আমার এখনো বিশ্বাস হয়না বাবা আমার ওপর হামলা করেছে। আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। রিপন মিয়া আমার বাবা না, ও একটা সন্ত্রাসী।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম মাওলা বলেন, পলাশের ওপর হামলার ঘটনায় তার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রিপন মিয়া পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

(এস/এসপি/জুন ১৬, ২০১৯)