স্টাফ রিপোর্টার : আমরা অবলীলায় জাতীয় বীরদের কথা, তাদের অর্জন ভুলে যেতে পারি। কোনো রকম গ্লানি তো নয়ই, লজ্জাও পাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের মত জাতীয় বীরদের কথা ভুলে যেতে বসেছি, যা ক্ষমার অযোগ্য। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় বীরদের জীবনী আজকের ও আগামী প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ইতিহাস আজকের প্রজন্ম জানতে পারছে না তার জন্য দায়ী রাজনৈতিক বিভক্তি। আজকের প্রজন্ম কি জানে অবিভক্ত ভারতবর্ষে গাজীউল হকই একমাত্র কিশোর, যে স্কুলছাত্র অবস্থায় সরকারি ভবন থেকে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে ফেলার অপরাধে কারাবরণ করেছিল? জানে না কারণ, আমরা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে আমাদের কৃতিমানদের অবদানকেও ছোট করতে কুণ্ঠিত হই না।

সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গাজীউল হক ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তী সব অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। বাষাট্টির শিক্ষা আন্দোলন, চৌষট্টির সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠক হিসেবে কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংগঠনের সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য ছায়মা খাতুন রিভা, আবদুল্লাহ আল কাফী প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুন ১৭, ২০১৯)