সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমের মাঝে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কাপাসিয়াবাসি অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে  আইপিএস লাগিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকতারা। প্রতিদিনই কারিগরি ত্রুটির অজুহাতে দিনে প্রায় প্রতিদিন ৭/৮ ঘন্টা লোডশেডিং দিয়ে গাজীপুর থেকে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। 

উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমা, বিপনী বিতাণ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রসহ বিশেষ করে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও পরিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কোন কারন ছাড়াই বিদ্যুতের ঘন ঘন ভেলকিবাজিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলার ৯২ হাজার গ্রাহকরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন পর্যায় থেকে বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও কোন কাজ হচ্ছে না। শুরুর দিকের সেই পুরনো কারিগরি সহায়তায় চলছে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ। প্রতিনিয়ত সঞ্চালন লাইন মেরামতের নামে মাইকিং করে দিনব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে। চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও কাপাসিয়া অফিসের সরকার বিরোধী কর্মকতারা রহস্যজনক কারনে লোডশেডিংয়ের কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ রাখছে।

সম্প্রতি উপজেলা ব্যাপী সঞ্চালন লাইনের আশপাশ থেকে ব্যাপক ভাবে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা কেটে ফেলা হয়েছে। সুবিধাভোগী মানুষের আশা ছিল গাছ কাটার ফলে হয়তো বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হবে। কিন্ত যথায়তথা, কোন কাজ হয়নি। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকতা-কর্মচারীদের মনগড়া আচরন ও আইনের মারপ্যাঁচ দেখিয়ে দিন দিন তাদের দৌরাত্ব রেড়েই চলেছে। ফলে ছোট বড় পোল্ট্রি ও ডেইরী খামার, ওয়ার্কশপ এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট নানা মূখি ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের পথে দাড়িয়েছে।

ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে বিদ্যুৎ চালিত অনেক জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দিনের পর দিন বিদ্যুৎ লাইনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না হওয়া, মিটার সংক্রান্ত জটিলতা ও বিল সমস্যার বিষয়ে গ্রাহক হয়রানি এখন চরম আকার ধারন করেছে। এ ব্যাপারে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, কাপাসিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু মোঃ ইয়াহিয়া আকন্দ জানান, বর্তমান সরকারের ঘোষনা অনুযায়ি প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। দিন দিন বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে ৯২ হাজার হয়েছে।

কাপাসিয়ার চাহিদা মোতাবেক ২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলেও সিস্টেমলস এবং কারিগরি ত্রুটির কারনে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছেনা। খুব শীঘ্রই বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে ডিজিএম আশাবাদ ব্যক্ত করেন

(এসকেডি/এসপি/জুন ১৭, ২০১৯)