স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা যত পরিকল্পনাই করি না কেন, সৌদি সরকার যা চায় সেটাই হয়, এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পে হজ চিকিৎসক দলের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনা অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। আগের সব ভুল ভ্রান্তিকে বিবেচনায় রেখে আমরা এবার সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম সম্পন্নের পরিকল্পনা করেছি। আশাকরি এবার ভালো ফল আসবে।

তিনি বলেন, অতীতের মতো টিকিট বিক্রিতেও কোনো সমস্যা নেই। এবার আগে ভাগেই প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ এবার যেহেতু বাড়তি স্লট দেবে না বলে জানিয়েছে তাই আমরাও এ বিষয়ে সতর্ক। আশা করছি এবার আমরা সফলভাবেই হজ কার্যক্রম শেষ করতে পারব।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, সব প্রক্রিয়া অনলাইন নির্ভর হলে আমরা একটি ঝামেলামুক্ত হজ উপহার দিতে সক্ষম হব। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা অনেক পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচিব আনিছুর রহমান, হজক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

জানা গেছে, ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজ গমনেচ্ছুরা যেসব স্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দিতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে- ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।

এছাড়াও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (গাজীপুর) ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে (টঙ্গী, গাজীপুর) দুইটি মেডিকেল সেন্টার চালু করা হয়েছে।

অন্য জেলার হজযাত্রীদের জন্য বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা শহরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের উল্লিখিত কেন্দ্রসমূহে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ম্যানিনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে সংগৃহীত স্বাস্থ্যসনদ বিমানবন্দরে প্রদর্শনের জন্য নিজ হেফাজতে রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। ইতোমধ্যেই নিবন্ধনসহ হজ প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি হজযাত্রীদের (শুধু মাত্র যারা ঢাকা থেকে যাবেন) ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হবে। এতে করে তাদের সৌদি আরবের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না।

(ওএস/এসপি/জুন ১৯, ২০১৯)