অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা গৃহবধূ শাজেনূর বেগম (৩০) অবশেষে মারা গেলেন।

আজ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। এর আগে গত ১৩ জুন আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাজেনুরের মেয়ে কারিমা মারা যায়। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত স্বামী বেল্লাল নিজেও।

শাজেনূর বেগমের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাজেনূরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বরিশাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। শাজেনুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঐদিন ১৪ জুন তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৩ জুন গভীর রাতে মা ও সৎ মেয়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সাবেক স্বামী বেলাল হোসেন। এ ঘটনায় মেয়ে সখিনা আক্তার কারিমা (১০) ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং স্ত্রী শাজেনূর বেগম (৩০) পুড়ে ৭০ ভাগ দগ্ধ হয়েছিলেন । সাজেনূর উপজেলার রুহিতা গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। এই ঘটনার পর ঐদিন সকালে সাবেক স্বামী বেলাল হোসেনও (৩৫) আমগাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

শাজেনুরের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যু কামনা করেননি গ্রামের মানুষ।

প্রতিবেশী ফারুক মাঝী মুঠোফোনে জানান, ওদের সংসারটি ভালোই চলছিলো।শাজেনুরের বাবা আব্দুল মালেক নিয়মিত রোজা- নামাজ পরতেন। ওরা কারো সাথে কখনো গন্ডগোল করেনি, আমরা ঘটনায় মর্মাহত।

(এটি/এসপি/জুন ২০, ২০১৯)