গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা শহরতলীর সুখনগর এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, রবিবার বিকেল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত স্বামী ফিরোজ মিয়া তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ওই রাতেই তাকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎনাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এঘটনার পর থেকে স্বামী ফিরোজ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা সবাই বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

নিহত নাজমা বেগমের মা রাবেয়া বেগম ও বোন নাছি বেগম জানান, প্রায় ৫ বছর আগে নাজমা বেগমের সাথে গাইবান্ধা পৌর এলাকার সুখনগরের আনোয়ারুল মিয়ার ছেলে ফিরোজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই ফিরোজ তার স্ত্রীকে মারধর করতো। ফিরোজ প্রায় দেড় বছর যাবৎ তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে বাবার বাড়ী যেতে দেন না। এক দিন থাকার শর্তে গত শুক্রবার স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ী সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ পাটানোছা গ্রামে বেড়াতে যান নাজমা বেগম। সেখানে দুই দিন থাকার পর রবিবার বিকেলে স্বামীর বাড়ীতে ফিরে আসলে ফিরোজ ওই দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এতে নাজমা বেগমের ঘাড় ভেঙ্গে যায় বলে তার পরিবার অভিযোগ করে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি তদন্ত মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

(এইচআইবি/এইচআর/জুলাই ২৮, ২০১৪)