মাদারীপুর প্রতিনিধি : শেষ মুহূর্তেও মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটের লঞ্চ ও স্পীডবোটে  যাত্রীদের ভীড় নেমেছে।

এই নৌরুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লোকজন যাতায়াত করে।

তবে মাওয়া ঘাটে ফেরিগুলো অধিক যানাবাহন পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রী পরিবহনগুলোকে।

পুলিশসহ প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থাপনায় উভয় ঘাট এলাকায় সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি থাকলেও কাওরাকান্দি ঘাট থেকে সকল যানবাহন দ্বিগুনের বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করছে অনেক যাত্রী। সোমবার সকালে মাদারীপুর পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলামসহ পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, কাওরাকান্দি লোকাল বাসগুলো রুট পরিবর্তন করে দুরপাল্লায় চলায় লোকাল যাত্রীরা মহাদুর্ভোগে পড়েছেন। ফেরি ও লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হলেও মাওয়া থেকে স্পিডবোটগুলোতে ১৫০ টাকার ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা আদায় করছে। স্পীডবোটগুলোর যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পড়ার বাধ্যবাধকতা মানা হয়নি সঠিকভাবে। প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। পদ্মা পাড়ি দিয়ে যাত্রীরা যানবাহনে ভাড়ার নৈরাজ্যর মধ্যে পড়েছে। এছাড়া ভাঙ্গাসহ লোকাল বাসগুলো রুট পরিবর্তন করে বরিশাল ও খুলনা রুটে চলায় যাত্রীরা মহাবিপাকে পড়েছেন।

তারা আরো জানান, একদিকে লোকাল যানবাহন অন্য রুটে চলায় অপরদিকে ঘাট এলাকায় হালকা যানবাহন প্রবেশ করতে না দেয়ায় স্বল্প দুরত্বের যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। রুট পরিবর্তনকারী বাসসহ প্রতিটি বাস বরিশালের যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা, খুলনায় ৪০০ টাকা আদায়সহ বিভিন্ন রুটে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে। মাইক্রোবাসগুলো এদিনও প্রতিটি রুটে বেপরোয়া হয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ভাড়া আদায় করছে।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৮, ২০১৪)