উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণদানকালে বলেন, আমাদের আজ বড় লক্ষ্য হবে মাতৃভ’মিকে সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে আমাদের ৬০ লাখ মানুষকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা। দলমত নির্বিশেষে আজ বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রতিটি মানুষ বাংরার স্বাধীনতাকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা বুকে তুলে নিয়েছেন ৬০ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই বন্ধুত্বের কথা চিরদিন মনে রাখবেন। চিরকাল আমরা বন্ধুত্বের হস্ত প্রসারিত করে রাখবো।

কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর রাজাপুর ঘাঁটির ভিতর গোপন পথে প্রবেশ করে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। অপরদিকে ১৫ জন পাকসেনা হতাহত হয়।

খুলনার বৈকরি ও যশোরের বেনাপোলে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়।

বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর পাঁচবিবি ঘাঁটির ওপর তুমুল আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করে।

পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি খান আবদুল কাইয়ুম খান শক্তিশালী কেন্দ্রের গ্যারান্টি দিয়ে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক একটি শাসন তন্ত্র প্রণয়ন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ৬-দফা সমর্থনকারী অথবা বিচিাছন্নতাবাদী মনোভাবাপন্ন সমস্ত দল বা গ্রুপের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।

পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্দলীয় সদস্য এস.বি জামান ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্রোহ দমনে পাকসেনাবাহিনীর ভ’য়সী প্রশংসা করে এ জন্য আরো শান্তি কমিটি ও ভিজিলেন্স কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেন।

ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসক ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্লোগান, দেয়াল লিখন, নির্বাচনী প্রতীক মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়। না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।

নেজামে ইসলাম প্রধান মওলানা এ.কে. শামসুল হক সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা আরো দীর্ঘায়িত করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তর হলে আবার বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/জুন ২২, ২০১৯)