স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল পায়ে আর মাঠ মাতাবেন না স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো জয়ী ফুটবলার ফার্নান্দো তোরেস। সব ধরণের ফুটবলকে আজ বিদায় বলে দিয়েছেন এই স্ট্রাইকার। আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। এবার ক্লাব ফুটবলকেও গুডবাই জানিয়ে দিলেন।

২০০১ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় তোরেসের। এরপর টানা ৬ বছর স্পেনের এই ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন তিনি। অ্যাটলেটিকোর হয়ে ১০০’র বেশি গোল করেন তোরেস। ২০০৭ সালে স্পেন ছেড়ে রেকর্ড পারিশ্রমিকে পাড়ি জমান ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে। অলরেডদের হয়ে চার মৌসুমে ১০২ ম্যাচে গোল করেন ৬৫ টি। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের পর প্রথম ফুটবলার হিসেবে লিভারপুলের হয়ে এক মৌসুমে ২০ গোলের কৃতিত্ব দেখান স্প্যানিশ এই স্ট্রাইকার।

২০১১ সালে লিভারপুল ছেড়ে তোরেস চলে আসেন চেলসিতে। এখানে অবশ্য চার মৌসুমে ১১০ ম্যাচে তার গোল মাত্র ২০ টি। চেলসি থেকে লোনে এসি মিলান ঘুরে তোরেস ২০১৬ সালে আবারো ফিরে আসেন নিজের পুরনো ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। এখানে দুই মৌসুম পার করে চলে যান জাপানে। সেখানে মাত্র এক মৌসুম খেলেই সব ধরণের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দিলেন তিনি।

ফার্নান্দো তোরেসের ক্যারিয়ারের রঙিন সময়টা কেটেছে স্পেনের জার্সিতে। জাতীয় দলের হয়ে দুই ইউরো এবং এক বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন তিনি। ২০০৮ ইউরোর ফাইনাল তো তোরেসের জন্য স্মরণীয়। সেবার তার একমাত্র গোলেই জার্মানিকে হারিয়ে ১৯৯৬ সালের পর দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করে স্পেন।

স্পেনের জার্সিতে ১১০ ম্যাচ খেলে ৩৮ গোল করেন তোরেস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার কথা জানিয়ে দেন স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম এই সদস্য। টুইটারে তিনি লিখেন, ‘উত্তেজনাকর ১৮টি বছর পার করার পর, এখন সময় হয়েছে আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার।’

(ওএস/এসপি/জুন ২২, ২০১৯)