সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়ায় কিশোরীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ইকবাল সহ অন্যান্য মামলার ৬ জনকে সোমবার বিকেলে নেত্রকোনা আদালাতে হাজির করা হয়। ইকবাল আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ধর্ষনের দায় স্বীকার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের সহযোগিতায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব-১৪) এর একটি দল রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলা টাঙ্গুয়া গ্রাম থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে।

তিনি জানান, থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে হাজির করা হলে আদালতে ইকবাল ধর্ষণের দায় স্বীকার করে।

পুলিশ জানায়, কেন্দুয়া পৌর এলাকার সলফ কমলপুর মহল্লার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইকবাল ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোবন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে পেলে ঈদের পরদিন তাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে কেন্দুয়া থেকে সাহিতপুর যাওয়ার পথে পাকা রাস্তার পাশে সেচের গভীর নলকূপের টিনসেটে ছয়দিন আটকে রেখে ইকবাল ও তার বন্ধুদের নিয়ে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর গত ১২ জুন গভীর রাতে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় কেন্দুয়া মদন সড়কের গোগ বাজার জামতলা এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়। এখান থেকে উদ্ধার করে তাকে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফিরে আসলে ধর্ষিতা কিশোরী পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষনের ঘটনার বিবরণ দেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ইকবাল সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ মামলা দায়েরের পর ইকবাল সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে।

কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(এসবি/এসপি/জুন ২৪, ২০১৯)