টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা মোতাবেক স্ত্রী প্রিয়াংকা দাস মামলা দায়ের করেন। ওই যৌতুক মামলায় ১১ দিন কারাভোগ করলেও ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থকে সরকারি বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেননি বলে জানান প্রিয়াংকা দাস। 

গত ২০১৮ সালে ২৬ জুলাই প্রসেনজিৎ বিশ^াস পার্থ আদালতে আত্মসর্ম্পন করলে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন। প্রসেনজিৎ বিশ^াসের স্ত্রী প্রিয়াংকা দাস বলেন, সরকারি চাকুরির বিধি অনুযায়ী কর্মরত থাকাবস্থায় কেহ কারাবাস করলে তাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। অথচ ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তার বিরুদ্ধে আইনটি কার্যকর করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন।

১০ মাস পার হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজও ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ^াসকে সাময়িক বরখাস্ত করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় স্মারক মূলে ঝিনাইদহের সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ রাশেদা সুলতানাকে অবহিত করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ রাশেদা সুলতানা জানান আমি যথারীতি মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন পাঠাইয়াছি। ব্যবস্থা নেওয়া না নেওয়া মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।

ঝিনাইদহে কর্মরত বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থর বিষয়ে কোন নথিপত্র আমার কাছে নেই। তার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি নতুন যোগদান করেছি। অবগত হলাম বিষয়টি আমি দেখব।

ডাঃ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, আমি সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছি। এর বেশি কথা বলতে তিনি রাজি হননি।

(আরকেপি/এসপি/জুন ২৪, ২০১৯)