স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছে। এটির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত করার জন্য ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এক সপ্তাহের সময় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পাঠানো হয়। এ নিয়ে কয়েক দফা দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন পাসের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে আরও পাঁচ বছর আইনটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টি, দরপত্র কেনা, বিক্রি, গ্রহণ বা দাখিলে বাধা দেয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, ভয়-ভীতি দেখানো ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির জন্য আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ প্রণয়ন করা হয়েছিল। আইনটি করার সময় প্রথমে মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ছয়বারে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১৭ বছর করা হয়। যার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হয়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও আরও উন্নতির জন্য মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন এক হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।

(ওএস/এসপি/জুন ২৫, ২০১৯)