স্পোর্টস ডেস্ক : টানা দুটি জয় পাকিস্তানকে দারুণভাবে টিকিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপে। ২৩ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবং ২৬ জুন বার্মিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় দুটিতে বড় অবদান রেখেছেন ব্যাটসম্যান বাবর আজম। আগের ম্যাচের ৬৯ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে বুধবার হার না মানা ১০১ রান করে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন টিকে থাকার দুর্দান্ত এক জয়।

পাঞ্জাবের ২৪ বছরের এ যুবকের এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের ৭ ম্যাচের একটি বৃষ্টিতে বাতিল হয়েছে। বাকি ৬ ম্যাচে বাবর আজমের একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি। মোট রান করেছেন ৩৩৩। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের ভালোই কাটছে বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরিটি ক্যারিয়ারের দশম। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর যতগুলো বড় ইনিংস খেলেছেন বাবর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে দেখছেন বুধবার বার্মিংহামে করা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০১ রানের ইনিংসটি। পাকিস্তানের ক্রিকেট দল নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছিল দেশটিতে তখন পরপর দুটি জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এ পাঞ্জাবি যুবক।

নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর বাবর আজম বলেন, তার লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়া। ‘আমি বলতে পারি, এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটা ইনিংস। আমি এখন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হতে চাই’- বলেছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের এবারের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল বাজেভাবে। প্রথম ৫ ম্যাচের তিনটিই হেরেছিল ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামের উত্তরসূরীরা। জিতেছিল মাত্র একটি। সেই পাকিস্তানই এখন উঠে এসেছে ফেবারিটদের তালিকায়। পাকিস্তানের দুটি ম্যাচ বাকি। শনিবার তারা খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এবং শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

বাবর আজম মনে করেন, ‘আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে ম্যাচটি জিততে পারবো। এখন এ আত্মবিশ্বাসও আছে যে, বাকি দুই ম্যাচও জিতবো। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ওই ইনিংস নিয়ে বাবর বলেছেন,‘আমার লক্ষ্যই ছিল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করা। সেটা সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ হাফিজ ও হারিস সোহেলের কারণে। তাদের জন্যই পার্টনারশিপগুলো হয়েছিল।’

(ওএস/এসপি/জুন ২৭, ২০১৯)