আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করায় দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী চার মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়েছে। পরবর্তীতে কৌশলে ওই ছাত্রীর গর্ভপাত করানোর ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার নাঠৈ মোল্লাবাড়ি এলাকার।

এজাহারের বরাত দিয়ে থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, পশ্চিম শাওড়া আলিম মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রীর (১৫) সাথে গত একবছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই বাড়ির মনির ফকিরের পুত্র সাব্বির ফকিরের (১৮)। সে (সাব্বির) সরকারী গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র।

ওসি আরও জানান, প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাব্বির একাধিকবার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। এতে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়। গত কয়েকদিন পূর্বে দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাব্বিরের মা সরুফা বেগম কৌশলে ওই ছাত্রীকে গৌরনদীর নাসিং হোমে নিয়ে সেখানকার চিকিৎসক সোহেদা আক্তারের মাধ্যমে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।

একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বুধবার রাতে ওই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাব্বিরের মা সরুফা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার অপর আসামি সাব্বির ফকির ও অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো গৌরনদী নাসিং হোমের চিকিৎসক সোহেদা আক্তারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

(টিবি/এসপি/জুন ২৭, ২০১৯)