স্টাফ রিপোর্টার : দেশীয় দুগ্ধশিল্প নষ্ট করতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক দুধের মান নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গত ২৫ জুন বায়োমেডিকেল রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ও ঢাবির ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক সংবাদ সম্মেলনে এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন। মিল্কভিটাসহ সাতটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির এই শিক্ষক বলেন, ‘পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই লেভোফ্লক্সাসিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টি নমুনায় এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’

এ গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যে তথ্য দিয়েছেন তা আমরা বিশ্বাস করি না। এটা ঠিক নয়। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা পাউডার দুধ আমদানি করেন। ইউরোপের ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশে দুধ থেকে ফ্যাট বের করে নেয়ার পর যেগুলো ইউজলেস থাকে সেগুলো বাল্ক হিসেবে এনে এখানে কম দামে বিক্রি করে। তারা (ব্যবসায়ীরা) মিল্কভিটার ক্ষতি করেন।’

তিনি বলেন, ‘এবার বাজেটে গুঁড়ো দুধ আমদানির ওপর আরও ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এ কাজটি করেছেন। তারা মিল্কভিটাকে ডাউন করতে চান। আমি এ বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছি।’

স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকেও মিল্কভিটার দুধ পরীক্ষা করে এনেছি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই দুধে কোনো ফরমালিন নেই, কোনো আর্সেনিক নেই, এটা পিওর দুধ। এসব ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে।’

দুধ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কারণে ঢাবি শিক্ষকের ওই রিপোর্টটি অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

দুগ্ধশিল্প খাতটি বিকাশমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ রিপোর্টের কারণে তারাও (দুগ্ধশিল্প মালিকরা) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসায়িক স্বার্থে এটা করে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিল্কভিটাসহ দেশীয় দুগ্ধশিল্প যাতে নষ্ট হয়, সেজন্যই এটা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল (২৬ জুন) মিল্কভিটার পক্ষ থেকে প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদ দিয়েছি। আমরা এ প্রতিবেদন স্ট্রংলি অপোজ (শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান) করে বলেছি, এটা মিথ্যা বা এটা অসত্য বা এটার কোনো প্রমাণ নেই।’

(ওএস/এসপি/জুন ২৭, ২০১৯)