জামালপুর প্রতিনিধি : পত্রিকা এনে দিতে দেরি করেছেন কনস্টেবল জামালউদ্দিন। এটাই তাঁর অপরাধ। এ অপরাধে জামালউদ্দিনকে ঝেড়ে পেটালেন উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম। এতে জামালউদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি।

সোমবার ভোর ছয়টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আহত কনস্টেবলকেই জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে।

জামালউদ্দিনকে প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, এসআই নুরুল ইসলাম কনস্টেবল জামালউদ্দিনকে পত্রিকা এনে দিতে বলেন। জামালউদ্দিন পত্রিকা আনতে দেরি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই নুরুল ইসলাম জামালউদ্দিনকে কিল-ঘুষি মেরে দেয়ালের সঙ্গে তাঁর মাথা ঠুকে দেন।

হাসপাতালে চিকিত্সাধীন জামালউদ্দিন বলেন, দেরিতে পত্রিকা দেওয়ায় তাঁকে এসআই মেরেছেন। জামালউদ্দিনের স্ত্রী মিনা খাতুনের অভিযোগ, ‘অন্যায়ভাবে আমার স্বামীকে পেটানো হয়েছে।’

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জামালউদ্দিনের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আহত হয়েছে।’

জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, আহত কনস্টেবল জামালউদ্দিনকে জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করে দেওয়া হয়েছে। যিনি মার খেলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই কেন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হলো জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজামউদ্দিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণ করায় জামালউদ্দিনকে জামালপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। জামালউদ্দিনকে পেটানোর কথা সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ২৮, ২০১৪)