বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হকের গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। রবিবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) “সমাজ-বহির্ভূত সম্প্রদায়ের জন্য ডিজিটাল সামাজিক মিথস্ক্রিয়া”  নামক ধারণাটি কানাডা’র টরেন্টো ইউনিভাসির্টিতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপিত হয়েছে। 

জানা যায়, মিডিয়া গুরু মার্শাল ম্যাকলুহান-এর শিষ্যদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া ইকোলজি এসোসিয়েশনের “মিডিয়া নীতি: যোগাযোগীয় বিশ্বে মানবিক প্রতিবেশ” শীর্যক চারদিনব্যাপী কনভেনশন-এর তৃতীয় দিনে মার্শাল ম্যাকলুহান-এর পৌত্র এ্যান্ড্রু ম্যাকলুহান মাহামুদুল হকের পক্ষে ওই গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কনভেনশনে আশিটি সেশনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ জন গণমাধ্যম পন্ডিত বক্তব্য রেখেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে এই সম্মেলনে তিনিই একমাত্র অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। কনভেনশন শেষ হবে সোমবার।

মাহামুদুল হক জানান “আমার উদ্ভাবিত নতুন ধারণা প্রচলিত সামজিক মিথস্ক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে “সমাজ-বিচ্যূত সম্প্রদায়ের জন্য ডিজিটাল সামাজিক মিথস্ক্রিয়া” আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে মার্শাল ম্যাকলুহানের শিষ্যদের দ্বারা জাস্টিফাইড হয়েছে। আমার এ ধরনার প্রয়োগে হিজড়া জনগোষ্ঠীসহ সমাজ-বিচ্যূত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখবে। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তত্ত্ব দাঁড় করাতে কাজ করে যাচ্ছি।”

এ্যান্ড্রু ম্যাকলুহান তাঁর এ কাজকে “গ্রেট ওর্য়াক” বলে সম্বোধন করেছেন এবং এ উদ্ভাবন উপস্থিত পন্ডিততের প্রশংসা কুড়িয়েছে, এ্যান্ড্রু ম্যাকলুহানকে উদ্ধৃত করে জানান মাহামুদুল হকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭ বছর আইনি লড়াই শেষে সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ তম সিন্ডিকেটের (জরুরী) মাধ্যমে চলতি বছরের ১০ মার্চ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মাহমুদুল হক।

(এম/এসপি/জুন ২৯, ২০১৯)