স্পোর্টস ডেস্ক : জনি বেয়ারেস্ট আর জেসন রয়ের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটিতে মনে হচ্ছিল, রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে এসে দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে হঠাৎই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে টেনে ধরতে সমর্থ হয়েছে বিরাট কোহলির দল।

২০৫ রানের মাথায় সেঞ্চুরিয়ান জনি বেয়ারেস্ট এবং ২০৭ রানের মাথায় অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন পেসার মোহাম্মদ শামি।

এ রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ডের রান ৩৭.৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২২। জো রুট ব্যাট করছেন ২৭ রান নিয়ে। তার সঙ্গী বেন স্টোকস ব্যাট করছেন ১ রান নিয়ে।

শুরুতে দুই ওপেনারের ব্যাটে যেন টর্নেডো বয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় বোলারদের ওপর। মাত্র ২২ ওভারেই ১৬০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারেস্ট। একের পর এক বোলার ব্যবহার করেও এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

২৩তম ওভারের প্রথম বলে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙতে পারলেন কুলদিপ যাদব। তবে এ ক্ষেত্রে বোলার কুলদিপের চেয়ে ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার কৃতিত্বই সবচেয়ে বেশি। দুর্দান্ত এক ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন জাদেজা। ৫৭ বলে ৬৬ রান করে ফিরে যান জেসন রয়। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

রয় আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই নিজের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন অপর ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট। ভারতীয় বোলারদের চারদিকে পিটিয়ে ৯০ বলেই পূরণ করে ফেলেন নিজের ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। ৮ বাউন্ডারি এবং ৪ ছক্কায় তিনি সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান।

তবে সেঞ্চুরি করার পর খুব বেশিদুর এগুতে পারলেন না। নিজের ১১১ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বেয়ারেস্ট। ১০৯ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল তার ১০ বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কায়।

অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান তো দাঁড়াতেই পারেননি। ৯ বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। মোহাম্মদ শামির বলে কেদার যাদবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

আগের দুই ম্যাচে টানা হারের কারণে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাটাই বলতে গেলে শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষ দুই ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে ইংলিশদের শেষটাই দেখে ফেলেছেন অনেকে। কিন্তু এজবাস্টনে আজ বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের সূচনা দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপটা তাদের জন্যই।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। দলে ফেরানো হয় ইনজুরিমুক্ত ওপেনার জেসন রয়কে। জনি বেয়ারেস্টকে নিয়ে ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয়।

দুই ওপেনার মিলেই যেভাবে ব্যাট করে যাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল রান নিশ্চিত ৩৫০ পেরিয়ে যাবে। মাত্র ১৫.৩ ওভারেই (৯৩ বল) দলীয় ১০০ রান পূরণ করেন বেয়ারেস্ট এবং জেসন রয়। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটেই ২০০ রানের গণ্ডি পার হওয়ার পর কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

(ওএস/এসপি/জুন ২৯, ২০১৯)