মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর উপর হামলায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ। রবিবার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৭ গ্রামের মানুষ ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে।

মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের গাজির মোড় এলাকায় ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের যশোবন্তপুর, পলাশবাড়িয়া, উথলি, কালিশঙ্করপুর, মন্ডলগাতি, রোনগর, ঝামা বাজারসহ ১৭টি গ্রামের শতশত সাধারণ মানুষ, নারী-পুরষ, শিশু-বৃদ্ধ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

বক্তব্য রাখেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চুন্ন, আওয়ামীলীগ নেতা আকিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম সহ আরো অনেকে।

বক্তারা অবিলম্বে ৭ মাসেরঅন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর উপর হামলা এবং ওই ঘটনায় নবজাতক ৪ দিনের শিশুর মৃত্যুর জন্যে দায়ি ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

গত ১৪ জুন তারিখে রাজনৈতিক প্রচারণা কাজের জন্যে বাঁশ বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে মহম্মদপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের নব্য আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দর আলির বিরুদ্ধে নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের মনজিলা বেগমের বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় মনজিলা বেগমের অন্তস্বত্ত্বা মেয়ে মুক্তা পারভিনের উপর হামলা চালানো হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২২ জুন তিনি কম ওজনের একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু চারদিন পরই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মোসলেম মোল্যা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলি এবং তার সহযোগী জাহাঙ্গীর খানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু ঘটনার পর মহম্মদপুর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামিই গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে হামলার শিকার মুক্তা পারভিনের ভাই আহাদ খান বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পরও আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করছেন। এমনকি এলাকার প্রায় সকল গ্রামের মানুষ খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করতে গেলে পুলিশ সেটি বন্ধ করার জন্যে চেষ্টা করলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

(ডিসি/এসপি/জুন ২৯, ২০১৯)