সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : কাপাসিয়া উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্র কাপাসিয়া বাজার আর সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড় সংলগ্ন পাবুর সড়ক। কাপাসিয়া – ঢাকা সড়কের পর সবচেয়ে বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকে এই পাবুর সড়ক দিয়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা সদর গাজীপুর কিংবা রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার বিকল্প সড়ক হিসেবে পরিচিত এই পাবুর সড়কের বর্তমান অবস্থা খুবই বেহাল ও করুণ।

নিজের চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই হবেনা উপজেলা সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমনি বেহাল অবস্থা হতে পারে। বৃষ্টি না হলেও বা সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় সড়কটি সহ আশপাশের এলাকা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আজ যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের ।

বৃষ্টির পর প্রতিনিয়তই ডুবে যাওয়া ড্রেন কিংবা এসব খানাখন্দে যানবাহন পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পথচারীরা স্বাভাবিক ভাবে পথচলতে পারছেনা। অনেক পথচারী গর্তে পড়ে আহত হচ্ছেন কিংবা কর্দমাক্ত পোশাক ও দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। স্কুল কলেজ ও অফিসগামী মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এ যেন দেখার কেউ নেই। কাপাসিয়া বাজার সংলগ্ন পাবুর সড়কে রয়েছে একটি অবৈধ টেম্পুস্ট্যান্ড।

এখান থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে তার গন্তব্যের স্থানে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়িত বচসা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের সাথে টেম্পু ড্রাইভারদের। এই সড়ক দিয়ে প্রতিমুহূর্তে চলছে অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন। এসব যানবাহনে আসা যাওয়া করছেন শতশত কর্ম ব্যস্ত মানুষ। কাপাসিয়া বাজার একটি বৃহত্তম বানিজ্যিক কেন্দ্র। মৌসুমি ফলের জন্য বিখ্যাত এই বাজারে প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁচামাল ক্রয়- বিক্রয় হয়ে থাকে ।

ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা কাপাসিয়া বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাবুর সড়ক দিয়ে প্রচুর কাচামাল বাজারে আসে। কিন্তু সড়কের এই বেহাল অবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। ভাংগাচুড়া সড়কে দীর্ঘ জানজট লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত।

এ ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানে না। সড়কটি গাজীপুর সড়ক ও জনপথের থাকার কারনে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকতারা। জনগুরুত্বপূর্ণ পাবুর সড়কের দ্রুত সংষ্কারের জোরালো দাবী জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।

(এসকেডি/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৯)