রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের পুষ্প রানী দাসকে ধর্ষণের পর হাত ও পায়ের সব আঙুল কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গায়ে কেমিকেল ঢেলে দেওয়া  লাশ উদ্ধারের পর পাঁচ দিনেও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি হত্যার কোন মোটিভ জানতে পারেনি। 

নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২০ জুন বিকেলে একই গ্রামের দর্জি পারিভন খাতুনের বাড়িতে ব্লাউজ আনতে যেয়ে আর বাড়ি ফেরেনি পুষ্প রানী দাস (৪২)। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ২২ জুন পুষ্প দাসের ছেলে জয়দেব দাস তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। নিখোঁজের আট দিন পর ২৮ জুন দুপুর দেড়টার দিকে গ্রামবাসির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ বারাত গ্রামের অ্যাড. কেসমত আলীর ইজারা দেওয়া পাটক্ষেত থেকে উলঙ্গ অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের দু’ হাত ও দু’ পায়ের আঙুল কাটা ছিল। গলায় একটি দড়ি বাঁধা ছিল। শরীরে লাগানো ছিল কেমিকেল। ঘটনার রাতেই নিহতের ছেলে জয়দেব দাস বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তালা থানার উপপরিদর্শক প্রীতিশ রায়কে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নয়, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পাশপাশি র‌্যাব ঘটনার অনুসন্ধানে নামে। অথচ লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি। ধরতে পারেনি কোন হত্যাকারিকে।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রতীশ রায় জানান, নিহত পুষ্পসহ কয়েকজনের মোবাইল কললিষ্ট যাঁচাই করার পাশাপাশি হত্যার বিভিন্ন কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে।

(আরকে/এসপি/জুলাই ০২, ২০১৯)